নিরাপত্তা
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলিতে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন নিম্নলিখিত কৌশলসমূহ অবলম্বন করা হয়:
১. বৈদ্যুতিক সুইচ, সুইচ বোর্ড, প্লাগসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি শিশুদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়।২. পরিষ্কারক, জীবানুনাশক দ্রব্যাদি এবং ঔষধ লেভেলযু্ক্ত পাত্রে শিশুদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে সংরক্ষণ করা হয়।
৩. শিশুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফাস্ট এইড বক্স ব্যবহার করা হয়।
৪. জরুরী নির্গমণের পথটি চিহ্নিত ও সর্বদা পরিষ্কার রাখা হয় যাতে প্রয়োজনের সময় দ্রুততার সাথে বের হতে পারে।
৫. শিশু গ্রহণ ও প্রস্থানের পথ সর্বদা পরিষ্কার ও নিরাপদ রাখা হয় যাতে বাধাহীন ভাবে চলাচল করা যায়।
৬. দেয়াল,মেঝে, সিলিং ইত্যাদি সংস্কার করে শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়।
৭.বাথরুম পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা হয় যাতে শিশুরা সুরক্ষিত থাকে।
৮. শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আবর্জনাসমূহ নিরাপদ স্যানিটারি পদ্ধতিতে অপসারণ করা হয়।
৯. শিশুদের স্বাস্থ্য উপযোগী খেলনা ও অন্যান্য আসবাবপত্র দ্বারা শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র সজ্জিত করা হয়।
১০. শিশুদের খেলনা ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের আসবাবপত্র এমনভাবে নির্বাচন করা হয় যাতে শিশুরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়।
১১. যত্নকারীরা প্রারম্ভিক উদ্দীপনা পর্যায়, প্রাক প্রারম্ভিক শিখন পর্যায়, প্রারম্ভিক শিখন পর্যায় এবং প্রাক প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে শিশুদের
সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করে থাকে।
১২. যত্নকারীরা শিশুদের সাথে সর্বদা আনন্দ ঘন পরিবেশে থাকে।
১৩. যেসকল শিশুরা বিমর্ষ, রাগান্বিত কিংবা আঘাতপ্রাপ্ত হবে যত্নকারীরা সেসব শিশুদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল থাকে।
১৪. যত্নকারীরা অন্যান্য শিশু এবং বড়দের প্রতি পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শণে শিশুদেরকে উৎসাহ দেয়।
১৫. ডায়াপার পরিবর্তনের স্থানটি রান্নাঘর এবং খাবার পরিবেশনের স্থান হতে দূরবর্তী স্থানে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
১৬. মাতৃদুগ্ধ লেবেলযুক্ত বোতলে রেফ্রিজারেটরে যথাযথ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয় এবং যত্নকর্মীরা শিশুদেরকে যত্ন সহকারে খাওয়ায়।
১৭. নিয়মিত শিশুদের খেলনা জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করা হয়।
১৮. শিশুদের বয়স উপযোগী খেলনা সরবরাহ করা হয়।
নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা।
বিস্তারিত জানতে শিশু অধিকার সনদ প্রতিপালন নির্দেশিকা ও কোভিড-১৯ সহ সকল সংক্রমণ প্রতিরোধ নির্দেশিকা-২০২১ ভিজিট
করুন.............
অধিকার
১. স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার
২. পুষ্টির অধিকার
৩. প্রারম্ভিক শিক্ষার অধিকার
৪. মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার
৫. প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অধিকার
৬. বৈষম্য শিকার না হওয়ার অধিকার
৭. বিকাশের উপযোগী কার্যক্রমের অধিকার ( খেলা, শিল্প ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কর্মচঞ্চলতা)
৮. বিশ্রাম ও ঘুমের অধিকার
৯.মতামত প্রকাশের অধিকার
১০. সুনির্দিষ্ট ও বয়স উপযোগী ও খেলনা সামগ্রীর অধিকার
১১. শিশুর অত্যাচার, অবহেলা ও নির্যাতন থেকে রক্ষার অধিকার
১২. বেড়ে উঠার জন্য নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের অধিকার
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনায় শিশু অধিকারগুলি জানা প্রয়োজন কেন?
শিশুর প্রতি বৈষম্য ও অমঙ্গলজনক সংশ্লিষ্ট বাঁধা নিরসনে প্রতিটি শিশুর অধিকারগুলি সুরক্ষিত কি না তা নিশ্চিত করতে দিবাযত্ন কেন্দ্র যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও দিক নির্দেশনার জন্য শিশুরা বড়দের উপর নির্ভরশীল। কম বয়সী যত্নকর্মীরা শিশুদের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলি সব সময় পূরণ করতে পারেনা। প্রারম্ভিক শিক্ষা থেকে শুরু করে শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মকান্ডগুলি তাদেরকে প্রভাবিত করে। শিশুরা যেসব মতামত প্রকাশ করে তা আমাদের অবশ্যই শোনা উচিত। সমাজ ও ভবিষ্যত কল্যাণের জন্য শিশুদের সুস্থ বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সামাজিক গবেষণায় দেখা যায় যে, শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা তাদের উন্নত ভবিষ্যত গঠনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। শিশু বিকাশের সর্বোত্তম স্থান হিসেবে দিবাযত্ন কেন্দ্র গুলিকে গড়ে তুলতে আমাদের শিশু অধিকারগুলি জানতে হবে। কিভাবে কর্মীরা সেই অধিকার প্রয়োগে সহায়তা করবে সেই বিষয়ে তারা অবগত থাকবে। এসব অধিকারের বিরুদ্ধে গেলে তার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে বিষয়ে জানা থাকতে হবে। শিশু স্বার্থ রক্ষার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আমরা আনন্দিতবোধ করব।‘২০ টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে’ “জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ-১৯৮৯” যেভাবে অনুসরণ করা হয়ঃ
সামাজিক
শারীরিক
বুদ্ধিবৃত্তীয়
আবেগীয়
বৈষম্য নিরসন
সকল শিশু আলাদা হলেও অবৈষম্যমূলক পোশাক, খাবার ও খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা সবাইকে সমান ভাবে দেখি।