ভূমিকা
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশু ভর্তি প্রক্রিয়ার মূল কেন্দ্রে রয়েছে কর্মজীবী নারী। তাই সকল আর্থ-সামাজিক অবস্থানের কর্মজীবী নারীরা যেন সমভাবে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য এই ভর্তি নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশু ভর্তি নিয়ে একদিকে যেমন পিতামাতা বা অভিভাবক উদ্বিগ্ন থাকেন, অন্যদিকে প্রশাসনিক কর্মচারীরাও পিতা-মাতা বা অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন কারণ শিশু ভর্তির সকল পর্যায়ে তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। ভর্তি মূল্যায়ণ প্রক্রিয়াটি যেন ন্যায্যতা এবং সততার সর্বোচ্চ মান পূরণ করে এবং ভর্তি প্রক্রিয়াটিকে কোন অনিয়ম যেন স্পর্শ করতে না পারে সে বিষয়গুলো বিবেচনা করে যথেষ্ট সচেতনতার সাথে এর বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে যা শিশু ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে পূর্ণ ধারণা দিতে সক্ষম হবে। এ নির্দেশিকায় কর্মজীবী নারী নির্বাচনের মানদন্ড, শিশু ভর্তি গ্রুপ, ভর্তির নিয়মাবলী, আবেদন মূল্যায়ণ, শিশু ভর্তি ও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়ন, ভর্তি ফি ও মাসিক ফি প্রদানের নিয়মাবলী, ভর্তুকি প্রাপ্তির যোগ্যতা এবং ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও শিশু যত্নের মাসিক ফি ও ভর্তুকির কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে।
আশা করছি ন্যায্যতা ও প্রাপ্যতার ভিত্তিতে শিশু ভর্তির আবেদন মূল্যায়ণ ও শিশু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্দেশিকাটি সংশ্লিষ্ট সকলকে সহায়তা করবে। প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশনায় যাঁরা গবেষণা করে এর বিভিন্ন বিষয়বস্তু নির্বাচন ও পর্যালোচনায় সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। পরিশেষে নির্দেশিকাটি প্রস্তুত ও প্রকাশে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
প্রকল্প এলাকা
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত ”২০টি শিশু দিবাযন্ত কেন্দ্র স্থাপন” প্রকল্পটির অধীনে যে ২০টি দিবাযন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে তার অবস্থান নিম্নরুপঃ
ঢাকায় ১০টি
ঢাকার বাহিরে ১০টি
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর্মজীবী নারীদের ৬ (ছয়) মাস থেকে ৬ (ছয়) বছর বয়সী শিশুদের দিবাকালীন নিরাপদ সেবা প্রদান করা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলেও প্রকল্প দলিলে সুনির্দিষ্টভাবে নিম্নলিখিত লক্ষ্যসমূহ নির্ধারণ করা হয়েছে।
- শিশুর দিবাকালীন যত্ন (সময়মত খাওয়া, খেলাধুলা ও ঘুমানো, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মানুবর্তিতা),
- শিশুর পুষ্টি
- প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান
- প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা
- শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং
- চিত্তোবিনোদন।
প্রকল্পের কার্যক্রম
প্রকল্পের প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জনের জন্য নিম্নলিখিত কার্যক্রমগুলি ডিপিপিতে বিচ্ছিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছিলঃ
- দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা নির্দেশিকা প্রণয়ন
- শিশু নির্বাচন ও ভর্তি নির্দেশিকা প্রণয়ন
- শিশু নির্বাচনের জন্য প্রকল্প এলাকায় জরিপ
- নিউজ পেপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং রেডিও ও টিভির মাধ্যমে প্রচার;
- ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর জনবল নিয়োগ
- ৪র্থ শ্রেণীর জনবল সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগ
- সরাসরি, আরএফকিউ ও উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ক্রয়কার্য সম্পাদন
- বাড়ীভাড়া ও কেন্দ্র চালু
- প্রচারনা
- প্রশিক্ষণ
- তদারকী
- PIC ও PSC সভা আহবান
- পরিদর্শন
প্রকল্পের বাস্তবায়িত কার্যক্রম
- ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর জনবল নিয়োগ
- ৪র্থ শ্রেণীর জনবল সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগ
- শিশু নির্বাচনের জন্য প্রকল্প এলাকায় জরিপ
- নিউজ পেপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং রেডিও ও টিভির মাধ্যমে প্রচার;
- ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর জনবল নিয়োগ
- ৪র্থ শ্রেণীর জনবল সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগ
- সরাসরি, আরএফকিউ ও উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ক্রয়কার্য সম্পাদন
- বাড়ীভাড়া ও কেন্দ্র চালু
- প্রচারনা
- প্রশিক্ষণ
- তদারকী
- PIC ও PSC সভা আহবান
- পরিদর্শন
প্রকল্পের প্রত্যাশিত ফলাফল
প্রকল্প প্রস্তাবে প্রকল্পের প্রত্যাশিত ফলাফল প্রত্যাশিত ফলাফল হিসেবে ঢাকা ও রংপুর মেট্রোপলিটন শহরসহ আরও ০৯টি জেলা শহরে মোট ২০টি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন।
প্রকল্পের সংগঠন ও বাজেট
প্রকল্পটি মূলতঃ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রণীত হয়েছিল এবং এটি এককভাবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়েছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি “প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট” ছিল। প্রকল্পের মসৃন পরিচালনা নিশ্চিত করতে এবং সার্বিক কার্যক্রম তদারকির জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এছাড়াও প্রকল্প কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি ও ফলাফল পর্যালোচনার জন্য ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি “প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি” ছিল।