শিশু অধিকার সনদ প্রতিপালন
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের প্রতিটি অধিকার গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট অধিকার আছে যা সরাসরি ডে-কেয়ার সেন্টারকে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের সর্বোত্তম স্থান হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সুযোগ করে দেয়। সনদের অধিকার গুলোকে ৪ টি মূলনীতিতে বিন্যস্ত করে দিবাযত্ন কেন্দ্রে অনুশীলন করার মধ্য দিয়ে শিশুর অধিকারগুলোকে রক্ষা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে যেন দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা শিশু যত্নের অন্তরায় বা বাঁধা গুলোকে দূর করতে পারে।
মূলনীতিগুলো নিম্নরুপ:
১) শিশুর যত্নে বৈষম্য নিরসন।
২) সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিশুর স্বার্থ সংরক্ষণ।
৩) শিশুর যত্নে প্রারম্ভিক বিকাশের অধিকার।
৪) শিশুর যত্নে মাতা-পিতার অংশগ্রহণ।
শিশুর যত্নে বৈষম্য নিরসন
আর্টিকেল-২
তুমি ছেলে বা মেয়ে হও, ধনী বা গরিব যে পরিবার থেকেই আসো, যে ধর্মেরই হও এবং যে ভাষাতেই কথা বলো না কেন, তোমরা সবাই সমান।
শিশুর যত্নে সর্বোত্তম স্বার্থ সংরক্ষণ
আর্টিকেল-৩ (১,২)
তোমার প্রতি তোমার মা-বাবার কর্তব্যকে বিবেচনায় নিয়ে তোমার সর্বোচ্চ কল্যাণ ও বিকাশের সর্বাধিক মান বজায় রাখার সর্বোত্তম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আর্টিকেল-১২
তোমার ভালোলাগা ও খারাপ লাগা বিষয়গুলোকে আমরা সব সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
শিশুর যত্নে প্রারম্ভিক বিকাশের অধিকার
আর্টিকেল-৩ (৩)
পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যত্নকর্মীদের দিয়ে এবং উপযুক্ত তদারকীর মাধ্যমে তোমার যত্ন নিশ্চিত করা হয়েছে।
আর্টিকেল ৬ (২)
তোমার বেড়ে ওঠা ও বিকাশের সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থার সর্বাধিক মান নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আর্টিকেল- ১৮, ২০
তুমি তোমার মায়ের সাথে সারাদিন থাকতে পারছ না? কোন চিন্তা নেই, দিবাযত্ন কেন্দ্রই তোমাকে বিশেষ যত্ন দেবে।
আর্টিকেল-১৯
দিবাযত্ন কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় তোমাকে যেন কেউ অবহেলা না করে, শারিরীক বা মানসিক আঘাত না দেয় এবং যৌন হয়রানী না করে সে বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করা হয়।
আর্টিকেল-২৪
তোমাকে সুস্থ রাখতে একটি পরিষ্কার ও নিরাপদ পরিবেশ শারীরিক অনুশীলন, বিশুদ্ধ পানি ও সুষম খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তোমার যত্নের সব তথ্য তোমার মাকে নিয়মিত জানানো হয়।
আর্টিকেল-২৭
তোমার প্রারম্ভিক শৈশব বিকাশের জন্য সব ধরনের মানসম্মত উপকরণ সরবরাহ করা হয়।
আর্টিকেল-২৮
তোমার জন্য মানসম্মত প্রারম্ভিক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যা তোমাকে স্কুলে যেতে আগ্রহী করে তুলবে।
আর্টিকেল-২৯
তোমার জন্য প্রারম্ভিক শিক্ষার পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে তোমার ব্যক্তিত্ত্ব, প্রতিভা, মানসিক এবং শারীরিক দক্ষতার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটে যেন তুমি তোমার সব সম্ভাবনা গুলোকে কাজে লাগাতে পারো এবং তোমার বাবা-মা, সমাজ, সংস্কৃতি, বন্ধুসহ চারপাশের পরিবেশকে সম্মান করতে পারো।
আর্টিকেল-৩১
কেন্দ্রে তোমার বয়স অনুযায়ী খেলাধুলা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আর্টিকেল-৩৪, ৩৫,১১
কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় তুমি যেন কোন ধরনের যৌন হয়রানি, অপহরণ ও পাচারের শিকার না হও সে বিষয়ে সর্বোচ্চ তদারকি করা হয়।
আর্টিকেল-৩৯
কেন্দ্রে কারো দ্বারা কষ্ট পেয়ে কিংবা উপেক্ষিত বা অবহেলিত হয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা প্রশমন বা উপশমের চেষ্টা করা হয়।
শিশুর যত্নে মাতা-পিতার অংশগ্রহণ
আর্টিকেল-১৪
তোমার জন্য কোনটা সঠিক, কোনটা ভুল সে বিষয়ে তোমার মা-বাবার দিক নির্দেশনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আর্টিকেল-৪২
তোমার অধিকার গুলো কিভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে তা তোমার মা-বাবাকে নিয়মিত অবহিত করা হয়।