দিবাকালীন যত্ন

শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশ নিশ্চিতের জন্য প্রতিটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের বিশেষ সেবার ব্যবস্থা রয়েছে, প্রতিদিনের কর্মসূচী পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন এমনভাবে করা হয়েছে যা প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বয়স অনুযায়ী বিকাশের জন্য উপযুক্ত।শিশুদের বিশেষ সেবার পাশাপাশি নিয়মিত প্রতিটি শিশুর সাধারণ যত্ন নেওয়া হয় যার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত-

খাবার খাওয়ানো

পুষ্টিকর খাদ্য শিশুর স্বাস্থ্যর উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।প্রারম্ভিক শৈশবে শিশুর পুষ্টিজনিত সমস্যা দুরীকরণ,দৈহিক বৃদ্ধি,মস্তিষ্কের পূর্ণ বিকাশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে বয়স ও দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য পরিকল্পনা রয়েছে।এই পরিকল্পনা শিশুর বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধ করে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলবে। প্রতিটি কেন্দ্রে শিশুদের সুষম খাবার ও নাস্তা সঠিক সময়ে,সঠিক পরিমানে এবং সঠিক চাহিদা অনুসারে প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।

ঘুমানো

শৈশবের শুরু থেকে শিশুর স্বাস্থ্যকর ঘুম নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যশক্তির বিকাশকে গুরুত্ব দেয়া হয়।বয়স ভেদে শিশুদের ঘুমের চাহিদা ভিন্ন হয়। আমরা শিশুর নিয়মিত ঘুমাতে যাবার সময় এবং ঘুম থেকে ওঠার সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি রুটিন অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি ঘুমের জন্য শান্ত ,কোলাহলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করি।

দাঁত ব্রাশ

মুখের সুস্থতাই দেহের সুস্থতার প্রধান শর্ত। কারণ স্বাস্থ্যকর মুখ সুন্দরভাবে কথা বলতে, খাবার গ্রহণ করতে এবং সামাজিকীকরণে সহায়তা করে।আর মুখের সুস্থতার অন্যতম প্রধান শর্ত সঠিকভাবে দাঁতের যত্ন নেয়া।দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুর দুধ দাঁত ওঠার সাথে সাথে নরম ও কোমল ব্রাশ দ্বারা শিশুর দাঁত ব্রাশের অভ্যাস গড়ে তোলা,২ বছরের নিচের শিশুদের দাঁত পরিষ্কারের জন্য বেবি টুথপেস্ট (নন-ফ্লুরাইড) সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে প্রতিটি শিশুকে সঠিক টয়লেট ট্রেনিং দেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত হাত ধোয়া,নখ কাটা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হয়।